প্রকল্পের নাম |
বাংলাদেশ উপকূলে সীউইড চাষ এবং সীউইডজাত পণ্য উৎপাদন গবেষণা প্রকল্প |
|
প্রকল্প পরিচালকের নাম ও ছবি |
মো: মহিদুল ইসলাম |
![]() |
উদ্যোগী মন্ত্রণালয় |
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় |
|
বাস্তবায়নকারী সংস্থা |
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট |
|
প্রকল্প বাস্তবায়নকাল |
জানুয়ারী, ২০১৮ হতে ডিসেম্বর, ২০২১ |
|
প্রকল্প ব্যয় (লক্ষ টাকা) |
মোট জিওবি প্রকল্প সাহায্য ১৬৮৬.০০ ১৬৮৬.০০ - |
|
প্রকল্পের অর্থায়ন |
জিওবি |
|
প্রকল্প এলাকা |
কক্সবাজার ও পটুয়াখালী |
|
প্রকল্পের উদ্দেশ্য |
|
|
প্রকল্পের পটভূমি |
সী-উইড (Seaweeds) সাগরের এক প্রকার তলদেশীয় জলজ উদ্ভিদ (Macro-algae)। সী-উইড বিশ্বব্যাপী একটি গুরত্বপূর্ণ জলজ সম্পদ, পুষ্টিগুণের বিচারে যা বিভিন্ন দেশে খাদ্য ও শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে ১১৭ টি সী-উইড প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে এর মধ্যে ১০ প্রজাতির সী-উইড বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গোপসাগরের ৭১০ কিমি.উপকূল ও ২০০ নটিক্যাল মাইল বিস্তৃত ১১৮,৮১৩ বর্গ কিমি. জলায়তন-যা আমাদের দেশের মূল ভুখন্ডের আয়তনের চেয়েও বেশী। এই জলসীমায় আহরণযোগ্য প্রচুর মৎস্য প্রজাতি ছাড়াও রয়েছে অনাহরিত বিপুল জলজসম্পদ। এই বিপুল আয়তনের জলজসম্পদের একটি ক্ষুদ্র অংশ বর্তমানে আমরা আহরণ করতে পারছি। সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়ার পাশাপাশি এই সী-উইড চাষ ও রপ্তানি বাংলাদেশের ব্লু-ইকোনমির উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য রাখতে পারে। পাশাপাশি বিশাল সমুদ্রের উপকূলে মানুষের জন্যে বিকল্প আয়ের উৎস হতে পারে সী-উইড চাষ। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দারিদ্র বিমোচনের জন্য পদক্ষেপসমুহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন। তাছাড়া, বর্তমান সরকার প্রচলিত মৎস্য চাষের পাশাপাশি বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন অপ্রচলিত জলজসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও উন্নয়নে সবিশেষ গুরুত্বারোপ করছে। সামুদ্রিক শৈবাল বা সী-উইড আমাদের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় সামুদ্রিক জলজসম্পদ। উল্লিখিত প্রেক্ষাপটে দেশের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের জলজসম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার ও উন্নয়নকল্পে সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে ১৬৮৬.০০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জানুয়ারী, ২০১৮ হতে ডিসেম্বর, ২০২১ আলোচ্য প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। |