Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ এপ্রিল ২০২২

বিএফআরআই সুবর্ণ রুই

বিএফআরআই কর্তৃক উন্নত জাতের ”বিএফআরআই সুবর্ণ রুই” উদ্ভাবন

 

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে  জাতীয় চাহিদার নিরীখে গবেষণা পরিচালনা করছে। গবেষণার আওতায় ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা জেনেটিক গবেষণার মাধ্যমে রুই মাছের ৪র্থ প্রজন্মের ১টি নতুন জাত ২০২০ সালে উদ্ভাবন করেছে। রুই মাছের নতুন এই জাতটি দ্রুত বর্ধনশীল, মূল জাতের চেয়ে ২০.১২% অধিক উৎপাদনশীল, খেতে সুস্বাদু এবং দেখতে লালচে ও আকর্ষণীয়। উন্নত জাতের এ মাছটি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হলে দেশে প্রায় ৮০,০০০ কেজি মাছ অধিক উৎপাদিত হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক্কালে রুই মাছের ৪র্থ প্রজন্মের এ জাতটি উদ্ভাবিত হওয়ায় ইনস্টিটিউট এই জাতটিকে ”সুবর্ণ রুই” হিসেবে নামকরণের প্রস্তাব করছে। এতে চাষী, হ্যাচারী মালিক ও উদ্যোক্তাদের কাছে নতুন এ জাতটি বিশেষ গুরুত্ব পাবে এবং মাঠ পর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারিত হবে। ফলে সামগ্রিকভাবে দেশে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

                                                                                          

                                                                                                                  চিত্রঃ বিএফআরআই সুবর্ণ রুই

স্বাদুপানির অন্যতম প্রধান মৎস্য প্রজাতি হচ্ছে রুই। বাংলাদেশে চাষযোগ্য মাছের মধ্যে রুই সবচেয়ে বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন মাছ। বর্তমানে মৎস্যচাষ প্রায় সম্পূর্ণভাবে হ্যাচারী উৎপাদিত পোনার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু, হ্যাচারীতে উৎপাদিত রুই মাছেরপোনার কৌলিতাত্ত্বিক অবক্ষ্ময় (genetic deterioration) ও অন্ত:প্রজননজনিত সমস্যা (inbreeding depression) মৎস্যচাষ উন্নয়নে অন্যতম অন্তরায়। এই সমস্যা হতে উত্তরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটে কৌলিতাত্ত্বিক গবেষণার মাধ্যমে রুই মাছের নতুন উন্নত জাত উন্নয়নে গবেষণা পরিচালনা করছে। এক্ষেত্রে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও হালদা নদীর প্রাকৃতিক উৎসের রুই মাছ ব্যবহার করা হয়েছে। পরিশেষে ধারাবাহিক গবেষণায় ২০২০ সালে রুই মাছের ৪র্থ প্রজন্ম উদ্ভাবন করা হয়েছে।

 

নতুন জাতের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট

১)         স্থানীয় জাতের তুলনায় ”বিএফআরআই সুবর্ণ রুই” (৪র্থ প্রজন্ম) ২০.১২% অধিক উৎপাদনশীল

২)         এ মাছের গায়ের রং লালচে হওয়ায় দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয়

৩)         অন্ত:প্রজনন সমস্যামুক্ত

 

জাত উন্নয়ন প্রটোকল

ক)        এক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন নদী যেমন - হালদা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র উৎসের রুই মাছের মধ্যে দ্বৈত এ্যালিল ক্রসিং (di-allele crossing) এর মাধ্যমে ৯টি গ্রুপ থেকে প্রথমে বেইজ পপুলেশন (base population) তৈরী করা হয়।

খ)         অত:পর বেইজ পপুলেশন থেকে সিলেকটিভ ব্রিডিং (mass selection) এর মাধ্যমে ২০০৯ সালে রুই মাছের উন্নত জাতের ১ম প্রজন্মের (F1) মাছ উদ্ভাবন করা হয়েছে - যা বেইজ পপুলেশন থেকে ৭.৫% অধিক উৎপাদনশীল।

গ)         পরবর্তীতে সিলেকটিভ ব্রিডিং (Family selection) এর মাধ্যমে রুই মাছের ২য় ও ৩য় প্রজন্মের যথাক্রমে ১২.৩৮% ও ১৬.৮৩% অধিক উৎপাদনশীল জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। অত:পর ২০২০ সালে উন্নত জাতের  ৪র্থ প্রজন্মের জাত তৈরী করা হয়েছে - যা স্থানীয় জাতের চেয়ে ২০.১২% অধিক উৎপাদনশীল।

ঘ)         ডিএনএ (Polymorphic DNA) মার্কার ব্যবহার করে ৪র্থ প্রজন্মের জাতের তূলনামুলক বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, নতুন এই জাতের কৌলিতাত্বিক ভিন্নতা (genetic variation) রয়েছে অর্থাৎ Polymorphic লোকাস ও জিন ডাই ভার্সিটি স্থানীয় জাত অপেক্ষা অধিক। এতে প্রমাণিত হয় যে, ৪র্থ প্রজন্মের জাতের কৌলিতাত্ত্বিক অবদান (genetic contribution) স্থানীয় জাত অপেক্ষা অধিক যা প্রজাতির বিশুদ্ধতা (genetic purity) বজায় রাখার পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। কৌলিতাত্ত্বিক ভিন্নতা নিন্মের সারণীতে দেয়া হলো:

সারণী: কৌলিতাত্ত্বিক ভিন্নতা (genetic variation)

স্টক

Polymorphic

লোকাস (সংখ্যা)

Polymorphic লোকাস (%)

জিন ডাইভার্সিটি

(Gene diversity)

বিএফআরআ সুবর্ণ রুই(৪র্থ প্রজন্ম)

১৫

৭১.৪৩

০.২৭১ ± ০.১৯০

নদী উৎস

১৪

৬৬.৬৭

০.২৫৭ ± ০.১০৯

হ্যাচারী

১২

৫৭.১৪

০.১৭৪ ± ০.১৮৪

প্রযুক্তির উপযোগিতা

অধিক উৎপাদনশীল ও অন্ত:প্রজনন সমস্যামুক্ত উন্নত জাতের ৪র্থ প্রজন্মের ”বিএফআরআই সুবর্ণ রুই” মাছ স্বাদুপানি ও আধা-লবণাক্ত পানির পুকুর, বিল, বাওড় এবং হাওরে চাষ করা যাবে। এতে সামগ্রিকভাবে দেশে প্রায় ৮০,০০০ কেজি মাছ অধিক উৎপাদিত হবে - যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। তাছাড়া, উন্নত এ জাতের রেণু পোনা হ্যাচারী থেকে সংগ্রহ করে নার্সারী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনেকেই লাভবান হতে পারবে।

 

প্রযুক্তি অবমুক্তকরণ ও আনুষ্ঠানিকতা

গত ১০ জুন ২০২১ ইং তারিখে ”বিএফআরআই সুবর্ণ রুই” এর উন্নত নতুন জাত ঘোষণা ও অবমুক্ত করা হয়েছে। অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।  

 

জার্মপ্লাজম বিতরণ ও সম্প্রসারণ

”বিএফআরআই সুবর্ণ রুই” জার্মপ্লাজম এ পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে মৎস্য অধিদপ্তরের ৮টি বিভাগে ১০টি সরকারী হ্যাচারীতে ২০,০০০ পোনা বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া, গত প্রজনন মৌসুমে ৪০ জন চাষী/উদোক্তা/হ্যাচারী মৎস্য চাষীদের নিকট ৩০ কেজি রেনু বিতরন করা হয়েছে।

 



COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon