Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

সুবর্ণ জয়ন্তি বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন

ক্রম

গৃহিত কর্মসূচী

কর্মসূচী বাস্তবায়নের সময়কাল

বাস্তবায়ন অগ্রগতি

মন্তব্য

০১।

সুবর্ণ রুই উদ্ভাবন

২০২১-২০২৫

  • ধারাবাহিক গবেষণায় ২০২০ সালে বিএফআরআই রুই মাছের ৪র্থ প্রজন্ম উদ্ভাবন করা হয়েছে। স্থানীয় জাতের তুলনায় “সুবর্ণ রুই (৪র্থ প্রজন্ম) ২০.১২% অধিক উৎপাদনশীল
  • সারণী: কৌলিতাত্ত্বিক ভিন্নতা (genetic variation)

স্টক

Polymorphic

লোকাস (সংখ্যা)

Polymorphic লোকাস (%)

জিন ডাইভার্সিটি

(Gene diversity)

সুবর্ণ রুই(৪র্থ প্রজন্ম)

১৫

৭১.৪৩

০.২৭১ ± ০.১৯০

নদী উৎস

১৪

৬৬.৬৭

০.২৫৭ ± ০.১০৯

হ্যাচারী

১২

৫৭.১৪

০.১৭৪ ± ০.১৮৪

  • সামগ্রিকভাবে দেশে প্রায় ৮০,০০০ কেজি মাছ অধিক উৎপাদিত হবে যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।
  • ১০ জুন ২০২১ ইং তারিখে  “সুবর্ণ রুই” এর উন্নত নতুন জাত ঘোষণা ও অবমুক্ত করা হয়েছে। অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

“সুবর্ণ রুই”জার্মপ্লাজম এ পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে মৎস্য অধিদপ্তরের ৮টি বিভাগে ১০টি হ্যাচারীতে ২০,০০০ পোনা বিতরণ করা হয়েছে।

  • প্রজনন মৌসুমে ৪০ জন চাষী/উদোক্তা/হ্যাচারী মৎস্য চাষীদের নিকট ৩০ কেজি রেনু বিতরন করা হয়েছে।
  • মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হতে ৪ই আগস্ট ২০২১ তারিখ ও ৩৩.০০.০০০০.১৩০.৯৯.০২৭.১৯-২২ স্মারকে রুই মাছের ৪র্থ প্রজন্মের এই জাতটিকে  সুবর্ণ রুই (Subarno Rui) হিসেবে নামকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়েছে।
  • স্বাদুপানির অন্যতম প্রধান মৎস্য প্রজাতি হচ্ছে রুই। বাংলাদেশে চাষযোগ্য মাছের মধ্যে রুই সবচেয়ে বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন মাছ। বর্তমানে মৎস্যচাষ প্রায় সম্পূর্ণভাবে হ্যাচারী উৎপাদিত পোনার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু, হ্যাচারীতে উৎপাদিত রুই মাছের পোনার কৌলিতাত্ত্বিক অবক্ষয় (genetic deterioration) ও অন্ত:প্রজনন জনিত সমস্যা (inbreeding depression) মৎস্যচাষ উন্নয়নে অন্যতম অন্তরায়। এ সমস্যা হতে উত্তরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউট হতে কৌলিতাত্ত্বিক গবেষণার মাধ্যমে রুই মাছের ৪র্থ প্রজন্মের ১টি নতুন জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। রুই মাছের নতুন এই জাতটি দ্রুত বর্ধনশীল, মূলজাতের চেয়ে ২০.১২% অধিক উৎপাদনশীল, খেতে সুস্বাদু এবং দেখতে লালচে ও আকর্ষণীয়। উন্নতজাতের এ মাছটি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হলে দেশে প্রায় ৮০,০০০ কেজি মাছ অধিক উৎপাদিত হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক্কালে রুই মাছের ৪র্থ প্রজন্মের এ জাতটি উদ্ভাবিত হওয়ায় ইনস্টিটিউট এই জাতটিকে “সুবর্ণ রুই” হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। গত ১০ জুন ২০২১ আনুষ্ঠানিকভাবে সুবর্ণ রুইয়ের জার্মপ্লাজম মৎস্য অধিদপ্তর ও বেসরকারী মালিকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব জনাব রওনক মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। এতে চাষী, হ্যাচারী মালিক ও উদ্যোক্তাদের কাছে নতুন এ জাতটি বিশেষ গুরুত্ব পাবে এবং মাঠ পর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারিত হবে। ফলে সামগ্রিকভাবে দেশে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।